নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৪৩
আজ শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাহিন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আবু বাকের মজুমদারের হাত তুলে সমর্থন জানান এবং তাঁর সমর্থকদেরও আবু বাকেরকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আবু বাকের মজুমদার বলেন,
“মাহিন সরকারের সঙ্গে ২০২৪ সালের ৬ জুন আমার পরিচয় হয়। তিনি বলেছিলেন, যেকোনো মূল্যে আন্দোলন সফল করতে হবে। প্রয়োজনে ঈদে আমি বাড়ি যাব না। সেখান থেকে তাঁর সঙ্গে আমার যাত্রা শুরু। অনেকেই চেয়েছেন আমরা যেন একসঙ্গে চলি। একসঙ্গে আমাদের পথচলা অব্যাহত থাকবে।”
অন্যদিকে মাহিন সরকার বলেন,
“আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে গণ-অভ্যুত্থানের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিকে সুসংহত করার দায়িত্ব সবার রয়েছে। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সব জায়গায় ঐক্য প্রয়োজন। আবু বাকের মজুমদার গণ-অভ্যুত্থানের একজন অগ্রসেনানী। তিনি যদি জিএস পদে নির্বাচিত হতে পারেন, সেটি আমার বিজয় হিসেবে ধরা হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“যেহেতু এখন প্রার্থী তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহারের সুযোগ নেই, তাই প্রার্থীদের তালিকায় আমার নাম থাকবে। তবে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আমি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা আবু বাকের মজুমদারকে ভোট দিন। তাঁর বিজয় মানেই আমার বিজয়।”
এ সময় আবু বাকের মজুমদার মাহিন সরকারকে স্মরণ করে বলেন, “অভ্যুত্থানের সময় তিনি হলপাড়ার শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করেন। সবচেয়ে কঠিন সময়ে আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমরা একসঙ্গে চলতে চাই।”
উল্লেখ্য, মাহিন সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব ছিলেন। তবে দলের অনুমতি ছাড়া ডাকসুতে প্যানেল ঘোষণার কারণে তাঁকে বহিষ্কার করে এনসিপি। এরপরও তাঁর প্যানেল থেকে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতা সাব্বির উদ্দিন ও বায়েজিদ হাসান সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, মাহিন সরকারের সঙ্গে তাঁদের আলোচনায় তিনি শীর্ষ পদে অনড় থাকায় শেষ পর্যন্ত আলাদা প্যানেল ঘোষণা করেন।