অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:৩৭
চরম রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি। গতকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। সুশীলার দায়িত্ব নেওয়ার দিনই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী বছরের ৫ মার্চ দেশটিতে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
৭৩ বছর বয়সী সুশীলা নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। এর আগে দেশটির প্রথম নারী প্রধান বিচারপতিও ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত প্রায় এক বছর তিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন।
গতকাল স্থানীয় সময় রাত নয়টার পর রাজধানী কাঠমান্ডুতে নেপালের প্রেসিডেন্টের বাসভবন শীতল নিবাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সুশীলা। প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওদেল তাঁকে শপথ পড়ান। ওই অনুষ্ঠানে নেপালের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধান বিচারপতি, সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা ও বিদেশি কূটনীতিকেরা অংশ নেন।
জেন–জি প্রজন্মের তরুণদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে গত মঙ্গলবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি পদত্যাগ করার পর দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট চলছিল। সংকট সমাধানে বিক্ষোভকারী তরুণদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট পাওদেল ও সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল।
শুক্রবার আলোচনায় মতৈক্য হওয়ার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুশীলা কারকির নাম ঘোষণা করে প্রেসিডেন্টের দপ্তর। বলা হয়, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সংবিধান সমুন্নত রাখতে এবং জাতীয় ঐক্য এগিয়ে নিতে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে সুশীলাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পাওদেল।
শুক্রবার রাতে প্রেসিডেন্ট ভবনে শপথ অনুষ্ঠানে দায়িত্ব নেওয়ার পরপর নেপালের পার্লামেন্ট ভেঙে দেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান সুশীলা। জানানো হয় পরবর্তী নির্বাচনের (২০২৬ সালের ৫ মার্চ) তারিখ।
নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কারকি
প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহিষ্ণু’ অবস্থান নিয়ে আলোচিত ছিলেন সুশীলা। ওই অবস্থানের কারণেই অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করেন বিক্ষোভকারী তরুণেরা। কয়েক দিনের মধ্যে নতুন সরকারের মন্ত্রীদের নাম জানাবেন তিনি।