নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪শে সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর গুলিস্তান, ফার্মগেইটসহ কয়েকটি এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করেছে। গতকাল বুধবার দুপুর দুইটার দিকে কারওয়ান বাজার, আগারগাঁও, পান্থপথ, শ্যামলী, নাবিস্কো এলাকায়ও মিছিল করেছে।
উপ পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, রাজধানীর ফার্মগেইট, বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের পাশে পানি ভবনসহ তেজগাঁও এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের লোকজন ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন টিম এসব এলাকায় তৎপর রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী পথচারী আবু নাছের বলেন, বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ প্লাজার সামনে থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর মিছিল নিয়ে ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের সামনে দিয়ে আহাদ পুলিশ বক্সের দিকে যায়। এ সময় দলের পক্ষে তারা স্লোগান দেন।
এছাড়া দুপুর দুইটার দিকে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের উল্টো পাশের রাস্তা ধরে মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তারা মিছিল নিয়ে কারওয়ান বাজার মোড়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করে। খামারবাড়ি থেকে বের হওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে যান ফার্মগেইটের দিকে।
প্রত্যদর্শী একজন সংবাদকর্মী বলেন, খামারবাড়ি থেকে বাইক দিয়ে ফার্মগেইটের দিকে যাওয়ার সময় মিছিলের কারণে তিনি আটকা পড়ে যান। এছাড়া সংসদ ভবন, শেরে বাংলা নগর, হাতিরঝিল ও গুলিস্থান এলাকায় মিছিল হওয়ার ভিডিও আওয়ামী লীগের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রামে ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একদল নেতা-কর্মী। নগরের খুলশী থানার সিডিএ অ্যাভিনিউ সড়কে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ মিছিল হয়েছে।
ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, নগরের এমএম আলী রোডের মুখে জড়ো হয়ে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ২০ থেকে ২৫ জন। তাদের হাতে একটি ব্যানার ছিল। সেখানে লেখা, ‘শেখ হাসিনা ফিরবেই, বিজয় আসবেই।’ ব্যানারের নিচে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নাম লেখা ছিল। মিছিলটি পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে পেরিয়ে দামপাড়া বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে একটি পুলিশের গাড়ি দেখে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিয়ে মিছিল করছেন ২০ থেকে ২৫ জন।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে আছেন। জুলাই অভ্যুত্থানে শত শত মানুষকে হত্যা এবং দমন পীড়নের অভিযোগে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিচার চলছে। এ আদালতে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের জন্যও আইনি কাঠামো তৈরি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিচার শেষ না পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব ধরনের কর্মকা-ে আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। আওয়ামী লীগের নিবন্ধনও স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। ফলে আপাতত দলটির ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।